Wednesday, April 20, 2016

ভিন্নমত কি অপরাধ ?

0 comments

ভিন্নমত কি অপরাধ ?

লেখক : প্রভাষ আমিন , সাংবাদিক

যায়যায়দিন একটি ইতিহাস বাংলাদেশে সংবাদপত্রের ইতিহাস লিখতে গেলে অবশ্যই যায়যায়দিন-এর জন্য আলাদা অধ্যায় রাখতে হবে 

আশির দশকে স্বৈরাচার এরশাদের আমলে, যখন সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ধারণাটাই অন্যরকম ছিল, তখন ভিন্ন স্বাদের যায়যায়দিন দিয়ে চমক সৃষ্টি করেছিলেন শফিক রেহমান যায়যায়দিন-এর মূল বিনিয়োগ ছিল সৃজনশীল আইডিয়া শুধুমাত্র কন্টেন্ট দিয়ে যে ৩২ পৃষ্ঠার একটি নিউজপ্রিন্টের ম্যাগাজিন পাঠকপ্রিয়তা পেতে পারে, তার উদাহরণ সৃষ্টি করেছিল যায়যায়দিন পরে এই ধারাটি অনেক শক্তিশালী হয়েছিল বলা হয়, শুরুতে যায়যায়দিন-এর অফিস ছিল শফিক রেহমানের মাথা আর ব্রিফকেস তিনি নিজে লিখতেন এবং আইডিয়া দিয়ে লেখাতেন কিন্তু শফিক রেহমানের হুল সহ্য হয়নি সামরিক সরকারের যায়যায়দিন বন্ধ হয়ে যায়, দেশছাড়া হন শফিক রেহমান 

খাবার মানেই আতঙ্ক

0 comments

খাবার মানেই আতঙ্ক   

সাঈদুর রহমান রিমন


বেঁচে থাকার প্রধান মৌলিক চাহিদা ‘খাবার খেতে বসলেই মনে প্রশ্ন জাগে, কী খাচ্ছি। খাবারের নামে ভেজালের বিষ নয় তো? এমন সন্দেহ, প্রশ্ন আর উদ্বেগ-আতঙ্কের মধ্যেই চলছে সবার খাওয়াদাওয়া। খাদ্যপণ্যে বেশুমার ভেজালের পরিণতিতে শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগবালাই। অকালমৃত্যু পর্যন্ত ঘটছে। এ ছাড়া বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম নেওয়া, অন্ধত্ব, ক্যান্সার, হেপাটাইটিস, কিডনি ও লিভারের জটিলতাসহ ১৫টি কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ভেজাল খাদ্যভোগী মানুষ। 

ভেজালের বিষময় খাদ্যসামগ্রীর কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে শিশুদের জীবন। গাভীর দুধ থেকে শুরু করে বিদেশি গুঁড়োদুধ, উন্নত প্যাকেটের জুস, নুডলস, চিপস, আইসক্রিম সবকিছুই ভেজালময়। বাজারের ফল-ফলারি পর্যন্ত বিষে ভরা। প্রাকৃতিক শাক-সবজির নামে সরাসরি কীটনাশক সেবনেরই নজির সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নানাভাবে খাদ্যে ভেজাল বা বিষাক্ত রাসায়নিকের প্রবেশ ঘটে।

Saturday, March 26, 2016

সাত বছরে আত্মসাৎ ৩০ হাজার কোটি টাকা

0 comments

সাত বছরে আত্মসাৎ ৩০ হাজার কোটি টাকা

   এ অর্থ দিয়েই অনায়াসে একটি পদ্মা সেতু তৈরি করা যেত।


.গত সাত বছরে ঘটেছে ছয়টি বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি। এসব কেলেঙ্কারিতে ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি চুরি বা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ অর্থ দিয়েই অনায়াসে একটি পদ্মা সেতু তৈরি করা যেত।
বড় এসব আর্থিক কেলেঙ্কারিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি লাখ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে সর্বস্বান্ত করেছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া বিভিন্ন ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের একটি অংশ ব্যাংক থেকে অর্থ আত্মসাতে সহযোগিতা করেছে, নিজেরাও লাভবান হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছাড় দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
একটি কেলেঙ্কারিরও বিচার হয়নি। সাজা পাননি অভিযুক্তদের কেউ। প্রাথমিক তদন্ত হয়েছে। বছরের পর বছর মামলা চলছে। অভিযুক্তদের কেউ জেলে আছেন, কেউ চিকিৎসার নামে হাসপাতালে আরাম-আয়েশে আছেন। অনেকে জামিন পেয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান—দুজনেই মনে করেন, মূলত সুশাসনের অভাব থেকেই একের পর আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে। আর ব্যবস্থা না নেওয়া প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ প্রথম আলোকে বলেন, হল-মার্ক থেকে শুরু করে বেসিক ব্যাংক বা বিসমিল্লাহ গ্রুপ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত লোকজন জড়িত ছিলেন বলেই কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পরের বছর দেশে দ্বিতীয়বারের মতো শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি ঘটে। এ ঘটনার তদন্ত কমিটির প্রধান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের হিসাবে ওই কেলেঙ্কারিতে অন্তত ১৫ হাজার কোটি টাকা খুইয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এরপর ২০১২ সালের সোনালী ব্যাংকের হল-মার্ক কেলেঙ্কারিতে অর্থ আত্মসাতের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। জনতা ব্যাংকের বিসমিল্লাহ গ্রুপ কেলেঙ্কারিতে অর্থ আত্মসাৎ করা হয় ১১০০ কোটি টাকা। ২০১৩ সালের বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে আত্মসাৎ করা হয় আরও প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া বহুস্তরবিশিষ্ট বিপণন কোম্পানি ডেসটিনির অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় আত্মসাতের পরিমাণ ৪ হাজার ১১৯ কোটি টাকা।
এসব ঘটনায় অভিযুক্তদের কারও সাজা হয়নি। হল-মার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর মাহমুদ জেলে থাকলেও প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম জামিনে আছেন। ডেসটিনির সভাপতি রফিকুল আমীন আটক হলেও অসুস্থতার অজুহাতে দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে আছেন। আর বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু ধরাছোঁয়ার বাইরে আছেন। মামলায় নাম পর্যন্ত নেই।
দেশে সবশেষ আর্থিক কেলেঙ্কারি হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে থাকা রিজার্ভ চুরি। ৫ ফেব্রুয়ারি চুরি করা হয় ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার, টাকার অঙ্কে যা প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থায় অনুপ্রবেশ বা হ্যাক করে এই রিজার্ভ চুরির ঘটনা এখনো বিশ্বজুড়ে অন্যতম আলোচিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
অর্থের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম হলেও সবচেয়ে বেশি তোলপাড় হয়েছে রিজার্ভ চুরির ঘটনা নিয়েই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির কারণেই এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে অনেক বেশি। ফলে এর দায়দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দুই ডেপুটি গভর্নরকে।
সামগ্রিক বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ আর্থিক এসব জালিয়াতি কমাতে তিনটি পরামর্শ দিয়েছেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, যারা অপরাধী, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। শুধু বিভাগীয় শাস্তি হিসেবে বরখাস্ত, বদলি নয়; অপরাধের দায়ের শাস্তি দিতে হবে। এ ছাড়া সৎ, দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তিদের সঠিক জায়গায় বসাতে হবে। রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন, সন্দেহ রয়েছে। আর সবশেষ হচ্ছে, ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আবার বাংলাদেশ ব্যাংককে শক্ত অবস্থান নিতে হবে, এ প্রতিষ্ঠানটিকে মূল ব্যাংকিংয়ের দিকে নজর দিতে হবে। তিনি মনে করেন, ব্যাংক খাত নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। ব্যাংকিং খাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ দেওয়া উচিত।
বড় বড় ব্যাংক কেলেঙ্কারির পেছনে সরকারের প্রভাবশালীরা জড়িত থাকেন—এর অন্যতম উদাহরণ হলো হল-মার্ক কেলেঙ্কারি। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যাংক কেলেঙ্কারির এই ঘটনায় টাকা তুলে নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন ওই ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাই। ব্যাংকটির পরিচালনা পরিষদের কয়েকজন সদস্যও তা জানতেন। হল-মার্কের এমডি তানভীর মাহমুদ আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে পরিচালনা পর্ষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা সাইমুম সরওয়ারের নাম বলেছিলেন। আবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নিজেও সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তিন বা চার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি বড় কিছু নয়। সোনালী ব্যাংক পর্ষদ পুনর্গঠনের সুপারিশ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থমন্ত্রী এটিকেও বাংলাদেশ ব্যাংকের এখতিয়ার-বহির্ভূত কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
আবার বেসিক ব্যাংক জালিয়াতির জন্য ৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। তবে এই তালিকায় ব্যাংকটির চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর নাম রাখেনি দুদক। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান, অপ্রতুল জামানতের বিপরীতে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ঋণ দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুকেই দায়ী করা হয়েছিল। ২০১৫ সালের ৮ জুলাই অর্থমন্ত্রী নিজেই সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ব্যাংকটিতে (বেসিক ব্যাংক) হরিলুট হয়েছে। আর এর পেছনে ছিলেন ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু।’ এর আগে ৩০ জুন জাতীয় সংসদে বেসিক ব্যাংক ও হল-মার্ক সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘জালিয়াতদের ধরতে বাধা নিজের দলের লোক।’
কেন ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি, এ প্রশ্ন করা হয়েছিল অর্থমন্ত্রীকে। ১৮ মার্চ প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘রাজনৈতিক ব্যাপার-স্যাপার সব আলাপ করা যায় না। তবে ব্যবস্থা ঠিকই নেওয়া হবে।’
এসব বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের যোগসাজশ রয়েছে। আবার ওই পর্ষদের সদস্যরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী কিংবা রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। তাই অনিয়মের বিষয়টি জানা সত্ত্বেও সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না। তিনি মনে করেন, এভাবেই বিচারহীনতার সংস্কৃতি জেঁকে বসেছে। এ সংস্কৃতি দুর্নীতিবাজদের সুরক্ষা দেয়, আবার অন্যকে দুর্নীতি করতে উৎসাহ জোগায়। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে এ দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে আরও কিছু কেলেঙ্কারি ঘটলেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে কম। যেমন, রূপালী ব্যাংক থেকে বেনিটেক্স লিমিটেড, মাদার টেক্সটাইল মিলস ও মাদারীপুর স্পিনিং মিলস নামে তিনটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে গেছে প্রায় হাজার কোটি টাকা। এর ৮০১ কোটি টাকা আদায়ের সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আবার অগ্রণী ব্যাংক থেকে বহুতল ভবন নির্মাণে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ৩শ কোটি টাকা ঋণ নেয় মুন গ্রুপ। আর সবশেষ লাইসেন্স পাওয়া ফারমার্স ব্যাংকও অনিয়মের মাধ্যমে প্রায় ৪শ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করে।
দেশে অন্য সরকারের আমলেও আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা ছিল। এর আগে গত বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৫ সালে ওরিয়েন্টাল ব্যাংক কেলেঙ্কারি ছিল সবচেয়ে আলোচিত। এ ঘটনায় ব্যাংকটির মালিকপক্ষ ওরিয়ন গ্রুপ বেনামে ৫৯৬ কোটি টাকা তুলে নিলে ব্যাংকটি প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। পরে ওরিয়েন্টাল ব্যাংক বিক্রি করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিএনপি সরকারের সময়েই চট্টগ্রামের অখ্যাত ব্যবসায়ী কে এম নুরন্নবী পাঁচটি ব্যাংক থেকে আত্মসাৎ করেন ৬৯৮ কোটি টাকা।
এ ছাড়া গত আওয়ামী লীগ সরকারের (১৯৯৬-২০০১) সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি হয়েছে শেয়ারবাজারে। সেই কেলেঙ্কারির মামলা এখনো বিচারাধীন।
এ ধরনের অপরাধে শাস্তির নজির নেই বাংলাদেশে। কিন্তু অন্য দেশে নজিরবিহীন শাস্তি দেওয়ার নজির রয়েছে। ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাসদাকের সাবেক চেয়ারম্যান বার্নার্ড মেডফের শেয়ারবাজারে আর্থিক কেলেঙ্কারির কথা ফাঁস হয়। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০৯ সালের জুন মাসে বিচারে ৭১ বয়সী এ ব্যবসায়ীকে ১৫০ বছর জেল দেওয়ার পাশাপাশি ১৭০ বিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়।
সূত্র - জাহাঙ্গীর শাহ, “দৈনিক প্রথম আলো” 27/03/2016

Tuesday, March 15, 2016

এক অনন্য প্রেসিডেন্টের কথা

0 comments

এক  অনন্য  প্রেসিডেন্টের  কথা

যিনি ছোটবেলায় রাস্তায় কফি আর কলা ভাজা বিক্রি করতো ছেলেটি। কুকুরকে ভীষণ ভয় পেত সে। পথে কোনো কুকুর দেখলেই ভয়ে দৌড়াতে শুরু করতো। এই ভয় তাকে অস্থির করে তুলতো। প্রচণ্ড ভয় পেয়ে একদিন হঠাৎ ছেলেটি প্রতিজ্ঞা করলো আর ভয় পাবে না সে। সিদ্ধান্ত হলো- যখনই কুকুর দেখবে তখনই চোখ রাঙিয়ে তাকিয়ে থাকবে। 

Tuesday, March 1, 2016

নদী বাঁচলে বাঁচবে দেশ

0 comments
নদী বাঁচলে বাঁচবে দেশ
নদীরে... একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে... বল কোথায় তোমার দেশ তোমার নেই কি চলার শেষ? এখনকার কোনো গীতিকার নদী নিয়ে আর ধরনের গান লিখবেন বলে মনে হয় না তারা হয়তো বলবেন, গতিময় ¯্রােতস্বিনী তুমি থামলে কেন? তোমার নব যৌবনের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে কত আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা তুমি তোমার পূর্বের যৌবনে ফিরে এসো নদী তখন অভিমান করে বলবে (যদি জীবিত থাকে) যাকে মেরে ফেলেছ তাকেই বুঝি দেখাচ্ছ পূর্ব যৌবনের প্রলোভন! তোমরা পারও বটে! কখন যে কাকে চাও নিজেরাও বুঝে উঠতে পার না আর নদী যদি সত্যিই মরে যায় গীতিকারের এসব কথা তার কানে পৌঁছবেও না নীরবে নিভৃতে বাংলাদেশের বিশাল বুক থেকে বিদায় নেবে একেকটি নদী বাংলা সাহিত্যের একটি বিরাট অংশ জুড়ে আছে নদী 

Sunday, February 21, 2016

শিল্পদূষণেই চার নদীর সর্বনাশ

0 comments

শিল্পদূষণেই চার নদীর সর্বনাশ

এক রকম মুখ থুবড়ে পড়েছে সরকারের নদী সুরক্ষাকেন্দ্রিক বিশেষ টাস্কফোর্সের সুপারিশ ও পরামর্শ। কোনো কিছুই নদীদূষণ বন্ধের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই হয়নি। আর এর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হয় ঢাকার শিল্প-কারখানাগুলোকে। যাদের সামলানোই মুশকিল হয়ে পড়েছে সরকারের পক্ষে।

দখল, দূষণ, লবণে বিপন্ন হালদা

0 comments

দখল, দূষণ, লবণে বিপন্ন হালদা

উৎপত্তি আর সমাপ্তিদুটিই দেশের ভেতর বাংলাদেশে এমন বিরল বৈশিষ্ট্যের নদী মাত্র একটিইহালদা নদীকে বলা হয় পৃথিবীর একমাত্র জোয়ার-ভাটার নদী, যেখানে রুইজাতীয় মাছ ডিম ছাড়ে প্রাকৃতিক মত্স্য প্রজননকেন্দ্র হিসেবেও নদীটি বিশ্বজুড়ে পরিচিত কিন্তু জীববৈচিত্র্য আর মত্স্যসম্পদে ভরপুর হালদা নদীর প্রাণ আজ নিভু নিভু দখল, দূষণ, লবণাক্ততা, রাবার ড্যাম নির্মাণসহ বিভিন্ন কারণে হালদা নদী এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নদীর ওপর নির্ভরশীল প্রায় এক কোটি মানুষের জীবন-জীবিকাও হুমকির মুখে

Advertisement

 

Copyright 2008 All Rights Reserved Revolution Two Church theme by Brian Gardner Converted into Blogger Template by Bloganol dot com